রিপন সারওয়ার ঃ- আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আঃ রাজ্জাক বলেন, এ উন্নয়ন যাদুর কাঠির উন্নয়ন নয় শেখ হাসিনার উন্নয়ন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মাঝে যে প্রাণ শক্তি, উৎসাহ উদ্দিপনা ও আনন্দের প্রাবণ বয়ছে তাতে বুঝা যায় পৃথিবির কোন শক্তি এ প্লাবণকে ডেকাতে পারবে না। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রাবণে নৌকার হাল ধরেছে। নৌকার বিজয় সু-নিশ্চত। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় মুক্তাগাছা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বিএনপি-জামায়েতের
নৈরাজ্য,অগ্নিসংযোগ,হত্যার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বিরাট জন সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপির সভাপতিত্বে, অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেমুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এড.মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল,জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আঃ কদ্দুস,সংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এড.বদর উদ্দিন আহমেদ,মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ বিল্লাল হোসেন সরকার,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ আরব আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মূর্শিদা আক্তার কাকলী,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম মনি,২নং বড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহান আলী প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, প্রাধন মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত পনেরো বছরে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু,মেট্রো রেল, বঙ্গ বন্ধু ট্যানেল, সারা দেশে কৃষি যোগযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যা দৃশ্যমান। এ উন্নয়ন যাদুর কাঠির উন্নয়ন নয়, শেখ হাসিনার উন্নয়ন। তিনি আরো বলেন দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন গত ৫বছরে একবারো বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হয়নি।
তিনি বলেন, খুনি জিয়া ১৯৭৫সালে বঙ্গ বন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করিয়ে জিয়া ক্ষমতায় আসে। মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস মুছে দিয়ে পাকিস্তান বানানোর জন্য সুদুর প্রশারি পরিকল্পনা করেছিলো জিয়া। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০১সালে ক্ষমতায় এসে আতœস্বীকৃত খুনিদের চাকুরি দিয়ে পূণর্বাসিত করেছে। মহিমা, পূর্ণিমাদের ওপর তারেক জিয়ার যুবদল আর ছাত্রদলের নির্যাতনের কথা মানুষ এখনো ভূলে যায়নি। উল্লাপাড়ার সেই পূর্ণিমার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে ছিল একজন নাপিতের মেয়ে। ওই মেয়ে ছিল পরীক্ষার্থী।
এ কারনে তার মা ছাত্রদলের ছেলেদের বলেছিল, তার মেয়ে পরীক্ষার্থী যা করার তারা যেন তাকে করে। এর পরও ওই মেয়ে তারেক বাহিনীর হাত থেতে রক্ষা পায়নি। এ রকম অসংখ্য নারী বিএনপি জামায়াত জোট আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ সব কাহিনী বর্ণনা করলে শরীর শিহরিত হয়ে উঠবে।
বিএনপির নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলো আওয়ামীলীগের নেতারা পালাবার পথ পাবেনা। এখনতো সেই নেতাদেরকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তারা অবরোধের নামে সস্ত্রাস,নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে । তিনি বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করে আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কেএম খালিদ এমপি কে পূনরায় বিজয়ী করা জন্য আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
0 coment rios: