বুধবার উপজেলার ৭নং ঘোগা ইনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলার মোঃ মিরাজ উদ্দিন ৫১৭ জন কার্ডধারী সুবিধাভোগিদের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করেন। এসময় ৩০ কেজি ওজনের চালের বস্তার প্রতিটিতে ওজনে কম দেয়ায় সুবিধাভোগিরা অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজন ইউপি মেম্বারের উপস্থিতিতে চাল ওজন দিয়ে কম দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী ঘটনাস্থল ঘোগা ইউনিয়নের কালিকাপুর গাবগাছতলা মোড়ে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান।
এসময় ৩০কেজি ওজনের চালের বস্তা মেপে দেখা যায় একটিরও ওজন ঠিক নেই। কোনটি সাড়ে ২৩ কেজি, কোনটি ২৫ কেজি এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ২৮ কেজি ওজনের বস্তা পাওয়া যায়। ততক্ষনে অধিকাংশ চাল বিতরণ হয়ে যায়। পরে যেসকল সুবিধাভোগি অবশিষ্ট ছিলেন তাদেরকে বস্তা ওজন দিয়ে কম থাকা চাল অন্য বস্তা খুলে পুরণ করে দেয়া হয়।
চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডিলারের ম্যানেজার সবুজ মিয়া জানান, তারা এলএসডি গুদাম থেকে নিয়মানুযায়ী চালের বস্তা নিয়ে এসেছেন। এখন দেখছেন বস্তায় ওজন ঘাটতি রয়েছে। সবুজ দাবী করেন খাদ্যগুদাম থেকে তাদেরকে এমন কম দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ওই বস্তা আনতে বাধ্য করা হয়েছে।
সুবিধাভোগীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সুবিধা চিন্তা করে কমদামে চালের ব্যবস্থা করেছেন, অথচ সেখানে এই গরীব মানুষের চালেও ওজনের কম দেয়া হয়। তারা এর তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিচার দাবী করেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী গুদামে কোন অনিয়ম আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ডিলারদেরকে তো ওজন দিয়ে চাল দেওয়া হয়। তারা সেখান থেকে আনার সময় সঠিকভাবে দেখে যার যার পরিমান বুঝে নেন। কাজেই কম দেয়ার বিষয়টির জন্য ডিলারই দায়ী। সব দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ওজনে কম দেয়ার অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা মিলেছে। কাজেই সংশ্লিষ্ট ডিলারের ডিলারশিপ বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে একই দিন উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের ভিটিবাড়ী বাজারে খাদ্যবান্ধন কর্মসূচির ২৪০ কেজি চাল পাচারের সময় আটক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে সেই চাল হতদরিদ্র ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
0 coment rios: