রিপন সারওয়ার: সংসারের ঋণের চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় কানাই চন্দ্র সূত্রধর। কানাই চন্দ্র সূত্রধরের পরিবার আত্মহত্যার বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করলে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করে।
থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, কানাই চন্দ্র সূত্রধর (৫০) শহরের লক্ষীখোলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। তিনি উপজেলার চেচুয়া দাখিল মাদ্রাসায় অফিস সহকারী পদে চাকুরি করেন। পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়েসহ ৪ সদস্য পরিবারে খরচের যোগান ও বিভিন্ন এনজিও, প্রতিবেশী লোজনের কাছ থেকে ধার করা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। গত শনিবার তাহার নিজ হাতে লেখা আত্নহত্যার উদ্দেশ্যে চিরকুট লিখে বাড়ী হতে সকলের অগোচরে চলে যায়। পরে পুলিশ রবিবার সকালে কানাই চন্দ্র সূত্রধরকে বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, কানাই চন্দ্র সূত্রধরের আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে
বাড়ি হতে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তার পরিবার আমাদেরকে অবগত করলে,আমরা তাৎক্ষনিক চিরকুট উদ্ধার করিয়া কানাই চন্দ্র সূত্রধর কে উদ্ধারের জন্য মাননীয় পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মহোদয় কে অবহিত করিয়া বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অব্যাহত রাখি। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পারি নিখোঁজ ব্যক্তি বেগুনবাড়ী বিদ্যাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছে। তাৎক্ষনিক ফোর্স নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের লোকজনদের সনাক্তমতে বেগুনবাড়ী বিদ্যাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন হতে সুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। উদ্ধারকৃত কানাই চন্দ্র সূত্রধর কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে আত্নহত্যার উদ্দেশ্যে বিদ্যাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন আসার জন্য অবস্থান করছিল। অতঃপর নিখোঁজ ব্যক্তিকে সুস্থাবস্থায় পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং অফিসার ইনচার্জের পক্ষ হইতে নগদ কিছু অর্থ প্রদান করা হয়। ছেলে জয় ও মেয়ে অর্পিতা বাবাকে পেয়ে ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সহ অফিসার ইনচার্জকে ধন্যবাদ জানান।
0 coment rios: