উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের (দ্বিতীয় পর্যায়) অতিদরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি হারে ৩৬ দিনের কর্মসূচীতে উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের ১৪০ জন উপকারভোগীর অনুকূলে ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা যার মোট টাকার শত করা ৫পাস্টেন হারে নন ওয়েজ কস্টসহ ১৮লক্ষ ১৪ হাজার ৪শত টাকা বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। গত ১০/০৪/২০২৩ ইং তারিখ হতে শুরু করে ০৭/০৬/২০২৩ ইং তারিখে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কুমারগাতা ইউনিয়নে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলীর গাফিলতিকেই দায়ী করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও সুধী মহল।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মীর রকিবুল হক জানান, ৪নং কুমারগাতা ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলীকে আমরা প্রকল্প ও লেবার তালিকা চেয়ে চিঠিসহ মৌখিকভাবে বার বার তাগিদ দেওয়া হলেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমরা টাকা ফেরত পাঠাতে বাধ্য হয়েছি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানাযায়,ইউপি সদস্যদের সাথে চেয়ারম্যানের সম্বন্বয়হীনতা অভাবে প্রকল্পটি ফেরত গিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পের কাগজপত্র জমা ও লেবারের তালিকা দেওয়ার জন্য তাগিত দিলে তিনি জমা দেননি। পরে চেয়ারম্যানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কুমারগাতা ইউনিয়নে কাজ করার মতো তেমন কোন জায়গা নেই ।
৪নং কুমারগাতা ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলীর সাথে স¦াক্ষাত করে কথা বললে তিনি জানান, কর্মসৃজন কর্মসূচীর প্রকল্পের টাকা ফেরত যাওয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সঠিক সময়রে মধ্যে প্রকল্প দিতে পারিনি। আমার এলাকায় মৎস্য চাষ বেশি থাকায় মাটি পাওয়া যায়নি বিধায় প্রকল্প দিতে পারিনি।
ইউপি সদস্য শামীম আহমেদ এর সাথে মঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের ইউনিয়নে ব্যাপক মৎস্য চাষের কারণে মাটির সমস্যা থাকায় প্রকল্প দেওয়া হয়নি।
ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুম থাকায় মাটি পাওয়া যায়নি তার মধ্যে এলাকার লোকজন তাদের জায়গা থেকে মাটি দিতে চায়না তাই আমার ওয়ার্ডে কোন কাজ করানো হয়নি।
সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা খাতুন পলি জানান, গাফলতির কারণে প্রকল্প জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লেবার জানান, আমরা গত কর্মসৃজনে কাজ করেছি শুনলাম আবার কাজ এসেছে অন্যান্য ইউনিয়নে কাজ হচ্ছে শুনে মেম্বার/চেয়ারম্যান এর কাছে গিয়েছিলাম তারা পরে কাজ হবে বলে আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমরা শুনতে পারলাম আমাদের কাজের টাকা চেয়ারম্যান সাহেব ফেরত পাঠিয়েছে। আমাদের চেয়ারম্যান তো সপ্তাহে দুই দিনের থাকে। শুক্র ও শনিবার ইউনিয়ন পরিষদে থাকে বাকি সময় থাকে ঢাকায়।
0 coment rios: