Sunday, June 25, 2023

রাজনীতির নেশায়ই বিয়ে করা হয়নি সাঈদ নেতার


Collected from Facebook:
জীবনভর দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। জনকল্যাণে ব্যয় করেছি জীবনের সবটুকু সময়। রাজনীতির নেশায়ই কেটে গেল জীবন ও যৌবন। আমার কর্মেগুনেই জনতার মধ্যে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেছি বলেই জীবন-যৌবনে বিয়ে, সংসার ও সন্তানের চিন্তা বা প্রয়োজন মনেকরি নি।

গতকাল বিকেলে নিজ বাড়িতে একান্ত আলাপ চারিতায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পোড়াবাড়ি”র এস.এম আবু সাঈদ ওরফে সাঈদ নেতা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেও আমার ভগ্যে জোটেনি বীর উপাধি।

তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, দীর্ঘ নয় মাস ধরে রাইফেলসহ বিভিন্ন এলাকায় পাক-হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের প্রতিহত করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছি। এরপরও অজ্ঞাত কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার নাম উঠেনি।

এস. এম. আবু সাঈদ ১৯৫৪ সালের ৬জানুয়ারি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি গ্রামের সৈয়দ আহম্মদ মুন্সি ও সফুরন নেছার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে পোড়াবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ১৯৬৭ সালে তিনি ঐ স্কুল থেকেই ৫ম শ্রেনি পাশ করেন। পরে তিনি ১৯৭৩ সালে স্থানীয় কাজী নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরে তিনি মধুপুর ডিগ্রী কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হলেও রাজনীতি, মামলা-হামলার কারণে পড়াশুনা আর চালিয়ে যেতে পারিনি।

এস. এম. আবু সাঈদ ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। পরে জাতীয় কৃষকলীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির জেলা শাখার সদস্য এবং মুক্তাগাছা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে নিজের জন্য অল্প কিছু সম্পদ রেখে বাকি সবটুকু জমি-জমা মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে দিয়েছেন এবং তার প্রতিষ্ঠিত তালিমুল কোরআন এতিমখানা ও মাদ্রাসা এবং গায়েনবাড়ি ৫তলা বিশিষ্ট জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠা করে তার খেদমত করছেন।

বর্তমানে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছেন। জোসনা নামের এক মহিলা বিগত ৪০বছর যাবৎ তার রান্না সহ দেখাশুনা করছেন।

সূত্র: ফেসবুক। Abdul Zobber https://www.facebook.com/az241239

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: