মো: মাহমুদুল হাসান; মুক্তাগাছায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হত্যার চেষ্টা ও এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে বাদী পক্ষকে পুনরায় মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের খাজুলিয়া গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, মুক্তাগাছার খাজুলিয়া গ্রামের মৃত মিয়া হোসেনের পুত্র ইদ্রিস আলী (৬৫) এর সাথে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবুর পুত্র নাসির গংদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন যাবত। এরই জের ধরে গত ১২ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে নাসির সহ কয়েকজন ইদ্রিসের থাকার ঘরের পেছনে টয়লেট সংলগ্ন স্থানে হত্যার উদ্দেশ্যে উৎ পেতে থাকে। সে সময় প্রকৃতির ডাকে ইদ্রিসের পুত্র কাউছার ও তার পুত্রবধু তামান্না বাহিরে গেলে টয়লেটের কাছে পৌছামাত্র হাবিবুর রহমান হাবুর নির্দেশে হত্যার উদ্দেশ্যে শাবল দিয়ে কাউছারের মাথায় আঘাত করে। কাউছার হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে এতে তার হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। কাউছার ও তার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন বের হয়ে আসলে নাসির গংরা সেখান থেকে চলে যায়। বিষয়টি রাতেই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি সদস্যকে অবহিত করলে তারা আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। পরদিন সকালে কাউছাকে মুক্তাগাছা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনলে মুক্তাগাছা হাসপাতাল থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চিকিৎসা শেষে কাউছার কাউছার বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফিরে আসার পর ইদ্রিস আলী স্থানীয় সীমান্ত বাজারে গেলে আসামী নাসির গংরা প্রকাশ্যে বাজারের মাঝখানে ইদ্রিসের উপর হামলা করে ও মারধার করে। উক্ত ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনা পুলিশকে অবহিত করার পরেও কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় কাউছারের পিতা ইদ্রিস আলী ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট ২নং মুক্তাগাছা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ওসি মুক্তাগাছাকে এমসি সংগ্রহ পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বর্তমানে বাদী ইদ্রিস আলী ও তার পুত্র কাউছার আসামীদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে কোন সময় তাদের উপর পুনরায় হামলা হতে পারে বলে ইদ্রিস আলী আশংকা প্রকাশ করছেন।
Tuesday, July 4, 2023
Author: মুক্তাগাছা প্রতিদিন
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: