মুক্তাগাছা উপজেলার ৭ নং ঘোগা ইউনিয়নের ধর গ্রামে প্রায় ৫০ শতাংশের একটি পুকুরের কিছু অংশ থেকে বুদ বুদ করে বের হচ্ছে বাতাস। আর এই বাতাস বের হওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মনে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। দূরদূরান্ত থেকে দেখতে আসা দর্শনার্থীরা একই প্রশ্ন করেন এটা প্রাকৃতিক গ্যাস না বাতাস। মফিজ মুন্সী জানান, আমাদের তিন পুরুষের পুকুর এটা আমার দাদা নায়েব আলী মুন্সী দেশ বিভক্তির পর কোচবিহার থেকে এখানে আসেন, দাদার মৃত্যুর পর তার এক মাত্র সন্তান আমার বাবা কায়েদ আলী মুন্সী এই পুকুর দেখাশুনা করতেন, তার মৃত্যুর পর আমরা চার ভাই এখন এই পুকুর দেখাশোনা করছি। বাবার মুখে শুনেছি, বাবাও ছোটবেলা থেকেই এই বাতাস বের হওয়া দেখেছে আর আমরা তো ষাট বছর ধরেই দেখছি। মফিজ মুন্সীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন আমার বিয়ে হয়ে আসার পর থেকেই এটা দেখে আসছি। পুকুরে গোসলের সময় আমরা কেউ বাতাস বের হওয়া পাশে যেতাম না আজরের ভয়ে (অলৌকিক শক্তি) পুকুর সেচার পর মাটি কাটাছি তখনো দেখলাম ওই একই রকম বাতাস বের হচ্ছে এরপর থেকেই আর ভয় লাগে না। ধর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই এ বাতাস বের হওয়া দেখে আসছি তবে এটা বাতাস না গ্যাস আল্লাহই জানেন, তবে সরকারি ভাবে পরিক্ষা করা হলে এর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
মুক্তাগাছায় ৬০ বছরেও মেলেনী পুকুর থেকে বাতাস বের হওয়ার রহস্য
মোঃ মাহমুদুল হাসান: তিন পুরুষের দেখবাল করে আসা এক পুকুরের মাঝখান থেকে বুদ বুদ করে বের হচ্ছে বাতাস। ৬০ ছর ধরে দেখে আসা এই বাতাস মফিজ মুন্সীর মনে এখনো এক প্রশ্ন বোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এটা প্রাকৃতিক গ্যাস, নাকি বাতাস?
0 coment rios: